স্যাটেলাইট নিয়ে উচ্চ মর্যাদায়: প্রধানমন্ত্রী
মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে উচ্চ মর্যাদার স্থানে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সঙ্গে মহাকাশ যুগে বাংলাদেশ নতুন যুগে প্রবেশ: শেখ হাসিনা
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর শনিবার সকালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “স্বাধীন জাতি হিসাবে বিশ্ব দরবারে আমরা উচ্চ মর্যাদা পেয়েছি।” এ আগে ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের মাধ্যমে।
মুগদায় আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস এবং জাতীয় নার্সিং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “উৎক্ষেপণ করা হয়েছে অত্যন্ত সফলভাবে। বাংলাদেশ এখন মহাকাশে অবস্থান করছে।”
মহাকাশে উগগ্রহ পাঠানোর তালিকায় ৫৭তম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানের কথাও জানান তিনি।
ক্ষমতার ধারাবাহিকতা ছিল বলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
“বাংলাদেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আবার, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছিল বলেই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পেরেছে। আর, সরকার গঠন করে বাঙলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপকভাবে কাজ করেছে। আর, সেই কাজের ফলেই আমরা বাংলাদেশকে আজকে মহাকাশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।”
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গায়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার রঙের নকশার ওপর ইংরেজিতে লেখা রয়েছে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ সরকারের একটি মনোগ্রামও সেখানে রয়েছে।
বাংলাদেশ এতদিন বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়া করে সম্প্রচার ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিষয়ে গবেষণার কাজ চালিয়ে আসছিল; বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে গুণতে হয় ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের উপকারিতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুধু যে বিনোদন হবে; তা নয়। এটা আমাদের সার্বিকভাবে কাজে লাগবে।
“বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করতে পারব। আমাদের শিক্ষা, বিনোদন, চিকিৎসা সেবাসহ এমনকি প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকে শুরু করে বিভিন্নক্ষেত্রে আমরা এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারব।”
“স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এখন সারা বাংলাদেশে এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলে .. পাহাড়ি অঞ্চল, চরাঞ্চল ও দ্বীপাঞ্চল থেকে শুরু করে সমগ্র অঞ্চলেই এই সেবাটা পৌছে দিতে পারব।”সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে নেপাল, মিয়ানমার ও ভুটানের কাছে স্যাটেলাইট সেবা দিয়ে প্রাচ পাঁচ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সেই সাথে সাথে শুধু আমাদের দেশের না.. বেশ আরো কয়েকটি দেশ.. তাদেরকে আমরা এখান থেকে কিছুটা স্পেস ভাড়া দিয়ে আমরা কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারবো। সেই সুযোগটাও আমাদের আছে।”
No comments:
Post a Comment